ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পিরোজপুরের নদীগুলোতে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। জেলার কচা, সন্ধ্যা, বলেশ্বর ও কালীগঙ্গা নদীর জোয়ারের পানিতে প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝের চর ও ইন্দুরকানি উপজেলায় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে লোকালয়ের বাড়িঘর, দোকানপাট প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে।
বুধবার জেলার টগরা গ্রাম ও মাঝের চর গ্রামের প্রায় ৮ কিলোমিটার বাঁধের প্রায় ৩কিলোমিটার ভেঙে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫’শ পরিবার।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, দুই বছর আগে বেড়িবাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। গত বছর ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জোয়ারের পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। দুপুরে অনেক বাড়িতে রান্না করা হয়নি। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কচা নদীর তীরের বাড়িগুলোতে যাতায়াত করতে কষ্ট হচ্ছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২৯৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ইন্দুরকানি উপজেলায় ৯৪ কিলেমিটার ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১৪০ কিলোমিটার।
পিরোজপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোজাহারুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জেলার ৭টি উপজেলায় ৭১২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলায় ৬৭টি মেডিকেল টিম গঠন ও দুর্যোগকালে খাদ্য ও সহায়তার জন্য ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।